মালয়েশিয়ায় রিলোকেশন ০ - রেজিউম প্রস্তুতি ও ইন্টারভিউ

মালয়েশিয়ায় রিলোকেশন ০ - রেজিউম প্রস্তুতি ও ইন্টারভিউ

রিলোকশেন কি সেটা মনে হয় না বললেও চলে। যারা জানেন না তাদের জন্য, এটা হল একরকম জব অফার যেখানে আপনাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে (মূলত অন্য দেশে) জব করতে হবে এবং আপনার যাওয়া সহ যাবতীয় দায় দায়িত্ব আপনার কোম্পানি বহন করবে। কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানিই আপনাকে যাবার খরচ, মালপত্র শিপমেন্ট খরচ এসবও দিয়ে থাকে। আর অনেক সময় রিলোকেশন উইথ ভিসা স্পন্সরশিপ বলে আরেকটি জব অফার থাকে সেখানে আপনাকে রিক্রুট করা কোম্পানিই আপনাকে ওই দেশে নিয়ে যাওয়ার সকল লিগ্যাল পেপারস, ভিসার এপ্লাই, ভিসার রিনিউ ইত্যাদি সকল দায়িত্ব পালন করবে। আমেরিকা, কানাডা, জার্মানী ইত্যাদি দেশে ভিসা স্পন্সরশিপ একটু কম থাকলেও সাউথ এশিয়ান ও আশেপাশের দেশগুলোয় খুঁজলেই প্রচুর রিলোকেশন অফার পাবেন যেখানে আপনার ভিসা কোম্পানিই স্পন্সর করবে। তো আমি গতমাসে এরকমই একটি কোম্পানি থেকে রিলোকেট হয়ে মালয়েশিয়া এসে চাকরি করছি। সবার সাথে আমার অভিজ্ঞতা ও টিপস শেয়ার করতেই এই ব্লগটি লেখা।

রেজিউম তৈরী

রিলোকেশন অফারে এপ্লাই করার আগে সবার আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। নানাভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন। মার্কেটে কি কি টেকনোলজি চলছে, কিসের চাহিদা বেশী এসবের ভিত্তিতে নিজেকে তৈরী করে নিতে পারেন। অর্জন করে নিতে পারেন কয়েকটি প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন। তবে যেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেন না কেন, আপনার রেজিউম বা সিভিতে যদি নিজেকে উপস্থাপন করতে না পারেন তাহলে কিন্তু আদতে কোন লাভ হবেনা। এমনকি আপনার চেনাপরিচিত কেও রেফার করলেও আপনাকে শর্টলিস্ট করার সম্ভাবনা কমে যাবে।

কয়েকদিন আগে জুনিয়রদের জন্য কিছু রেজিউম টিপস ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম। ভাবলাম সেটা এখানে লিখে দেই।

  • নামের ক্যাপিটালাইজেশন ভুল থাকা: সিভি দেখার সময় সবার আগেই চোখে এই জিনিসটা পড়বে। নাম ঠিকমত লেখাটা শুধু সিভি নয়, মেইল বডি, কভার লেটার, ইমেইলের একাউন্ট নাম সবক্ষেত্রেই জরুরী। অনেকে দেখা যায় সব লোয়ারকেস বা সবগুলা ক্যাপিটাল কেসে নাম লিখে। যথেষ্ট কারণ বা স্টাইল ছাড়া এমন লেখা অনুচিত।

  • বিভিন্ন অংশের ফন্ট সাইজের মাঝে সামঞ্জস্য না থাকা: অনেকে দেখা যায় সিভির উপরে নাম ঠিকানা লিখেছে নরমাল ফন্টে (সাধারণত ৯ বা ১১), কিন্তু প্রজেক্টের নাম ও বর্ণনা লিখতে গিয়ে ১৪ ফন্ট সাইজ দিয়ে ফেলেছে। এগুলাও খুব খারাপ দেখায়। একটা ডকুমেন্টে ২-৩ রকমের বেশী সাইজ ইউজ করা উচিত না। একই সাথে অযথা বোল্ট, অযথা ইটালিক করারও প্রয়োজন নেই। করলেও যেন কনসিস্টেন্সি থাকে। যেমন সকল বছর বা প্রজেক্ট ইয়ার গুলো ইটালিক করা যেতে পারে। কিংবা সকল কোম্পানির নাম বোল্ড করা যেতে পারে।

  • বিভিন্ন টেকনোলজির নাম ভুল করা: Javascript, Django, java, php, Mysql, Html, openGL, UBUNTU, MAC OS এগুলো সবগুলাই ভুল ক্যাপিটালাইজেশন। কেও একটা টেকনোলজি নিয়ে যদি ১ বছরও কাজ করে, তারপর বানান ভুল লিখবে এটা মানা যায়না। তার উপরে প্রোগ্রামিং এ স্ট্রিং এর কেস খুবই জরুরী জিনিস।

  • অনলাইনে থাকা স্যাম্পল টার্ম রিইউজ করা: /where I can utilize my skills and potentiality efficiently/, /I have strong management skill/, /I can work under pressure/ এরকম টার্মগুলা খুবই পরিচিত। সেই সাথে যে প্রজেক্টে বা কোম্পানিতে কাজ করবেন, তার ম্যানেজার বা টিমলীড ছয়মাস বা একবছর পর বুঝবেন আপনি কতটা স্ট্রং বা কতটা প্রেশার নিতে পারেন। সুতরাং একটু ভেবে হলেও অবজেক্টিভ বা সামারি পার্টটুকু ভেবে সময় নিয়ে লিখা উচিত। এবং অবশ্যই কারো থেকে হুবহু কপি করে নয়।

  • অন্যের সিভি/রেজিউম ফরম্যাট কপি করা: আজকাল সবারই সিভি/রেজিউম থাকে। তাই বলে সবার ফরম্যাট একই হবে এটাও হওয়া উচিত না। যেমন একজন এন্টারপ্রনার কিংবা একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজারের সিভির ডিজাইন, আর একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কিংবা মাল্টিমিডিয়া এক্সপার্টের সিভি এক হবেনা। তাই অন্ধভাবে অনুকরন না করাটাই ভাল হবে। আর অনুকরন করলেও বুদ্ধি খাটিয়ে অনুসরণ করা ভাল। যেমন কোন সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার যিনি মার্কেটে ১০ বছর ধরে কাজ করছেন, তিনি যে কারণে PHP/Java তে 5/5 স্কিল ক্লেইম করেন, সেটা সবার ক্ষেত্রে নাও সমান হতে পারে। সুতরাং তার সাথে কম্পেয়ার করে নিজেকে 4/5 স্টার দাবি করাটা বোকামিই।

  • অনলাইন পোর্টফোলিও: আজকাল সবারই ব্লগ, ওয়েবসাইট থাকে। কিংবা এসব না থাকলেও গিটহাব, লিংকডইন তো থাকেই। অনেকে দেখা যায় সিভি পাঠানোর কয়েকদিন আগে গিটহাব রেপো খুলে সেখানে একই দিনে তার করা ১০-১৫টা প্রজেক্ট আপলোড করে সেটার লিংক দিয়ে দেয়। জিনিসটা এক দিক দিয়ে ভাল। আবার অসুবিধা হল, আপনারা যদি প্রজেক্ট মেইনটেইন না করেন, কিংবা প্রজেক্টের কোন ডকুমেন্টেশন কিংবা স্ক্রিণশট না থাকে, তাহলে প্রজেক্টটা কাজেই লাগবেনা। আর রিক্রুটারদের এত সময়ও থাকেনা যে আপনার কোডের ভিতরে গিয়ে চেক করবে। সুতরাং প্রজেক্ট করলে চেষ্টা করবেন সুন্দরমত README লেখার। সাথে স্যাম্পল কমান্ড/স্ক্রিণশটও দিতে পারেন। আর হ্যা, বাইনারি ফাইল, অবজেক্ট ফাইল, APK/IPK ফাইল রেখে রেপোজিটরী বানাবেন না। সিকিউরিটির কারণে হোক বা আলসেমির কারণে হোক, কেউই আপনার বাইনারি নামিয়ে ইন্সটল করে দেখবেনা। চেষ্টা করুন Sourceforge/Play Store/App Store এ পাবলিশ করার। আর যদি কোন প্রজেক্ট না-ই থাকে, তাহলে শুধু শুধু গিটহাব লিংক দেবার দরকার নেই। এটা অযথা বিরক্তির কারণ হতে পারে।

  • মার্জিন, এলাইনমেন্ট, প্যাডিং এর হিসাব না রাখা: অনেকে দেখা যায় সিভি বানাতে গিয়ে ঠিকমত ফরম্যাট মেইনটেইন করেন না। তখন টেক্সট বক্স দিয়ে কাজ চালান। আর টেক্সটবক্স ডকুমেন্টের মূল মার্জিনের সাথে নাও মিলতে পারে। ফলে দেখা যায় লেখা একপাশে বেঁকে গেছে। কিংবা ১টা ওয়ার্ড পরের পেজে চলে গেছে। অথবা অনেকে দেখা যায় এজুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড লিখতে গিয়ে সাল, ভার্সিটির নাম, সিজিপিএ এইসব সমান কলাম দিয়ে লিখেছে। ফলে ভার্সিটির নাম ২-৩ লাইন হয়ে গেছে। অথচ সিজিপিএ বহাল তবিয়তে ২৫% পেজ নিয়ে বিদ্যমান। একটু চেষ্টা করলেই এইসব ভুল ঠিক করে ফেলা যায়।

  • পিডিএফ না দিয়ে শুধু ডক/ডকএক্স/জিপ পাঠানো: সাধারণত পিডিএফ ফরম্যাটের ডকুমেন্টই সবচেয়ে বেশী চলে। তারপরেও যদি রিক্রুটার চায়, বা ফর্মের কাজ থাকে, তাহলে ডক ফাইল দিতে পারেন। তবে অনেক সময় দেখা যায় শুধু ডকএক্স ফাইল পাঠানো হয়েছে। এটাও বিরক্তির কারণ হতে পারে কারণ লেটেস্ট মাইক্রোসফট অফিস সবার পিসিতে নাও থাকতে পারে কিংবা ডকুমেন্ট কনভার্ট করতে গিয়ে সব ডিজাইন এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। অনেকে দেখা যায় এক কাঠি সরেস। পিডিএফ এর উপর জিপ করে পাঠায়। এগুলা শুধু শুধু বিরক্তি তৈরী করে।

  • কোম্পানি ও টেকনোলজির নামের পার্থক্য বোঝা: অনেকের সিভিতে লেখা হয় যে সে ওরাকলে এক্সপার্ট, কিংবা উইন্ডোজ এক্সপি/টেন এ এক্সপার্ট, অথবা লিনাক্সে এক্সপার্ট। বেশীরভাগ কোম্পানিরই একাধিক প্রোডাক্ট আছে। যেমন ওরাকল বললে ওরাকল ডাটাবেজ বুঝব, নাকি জাভা বুঝব, নাকি মাইএসকিউএল বুঝব? আবার লিনাক্স বললেও নেটওয়ার্কিং, সিকিউরিটি, এপ্লিকেশন, এমবেডেড, ইনফ্রাস্ট্রাকচার অনেকরকম সেকশন আছে। অনেকে দেখা যায় HTML, CSS এ এক্সপার্ট এইটা লিখে। এখন HTML, CSS দিয়ে মার্কেটে প্র-চু-র ফ্রেমওয়ার্ক। কোন স্পেসিফিক ফ্রেমওয়ার্ক হলে সেটার নাম মেনশন করা উচিত। একই ভাবে উইন্ডোজ প্লাটফর্মের ভেতরেও সি শার্প, WPF, .NET, ASP.NET, Driver Development, MFC সহ প্রচুর জিনিসপত্র আছে। উইন্ডোজ এক্সপি বা ১০ এ এক্সপার্ট মানে আমি এটাও ধরে নিতে পারি যে আপনি সেটআপ দিতে এক্সপার্ট। হাহা। আর হ্যা, IDE পারলেই যে সব পারা হয়ে যায় তা কিন্তু না। সুতরাং আপনি JetBrains বা VS এর সাথে পরিচিত মানেই যে আপনি এক্সপার্ট সেটা সবসময় ধরা হবেনা। সুতরাং খুবই স্পেসিফিক হওয়া ভাল।

  • সেমিনার ও কোর্সে অংশ নেওয়া: এই পয়েন্টটা নিয়ে অনেকে আমার সাথে দ্বিমত হতে পারে। সেটা হল প্রায় সিভিতেই দেখি রোবোটিকস বা LICT এর কোর্স বা সেমিনারে অংশ নিয়েছে এইটা লেখা। ওয়েল, আমি পারসোনালি এরকম সিভি দেখলে সেমিনার পার্টটুকু স্কিপ করি। কেও কখনো সেমিনার বা বুটক্যাম্পে অংশ নিলেই ভাল প্রোগ্রামার হয়ে যাবে এটা সত্য না। তবে হ্যা, কেও এমন সেমিনার বা বুটক্যাম্পে গিয়ে যদি কিছু শিখে সেটার একটা পোর্টফোলিও বানাতে পারে, তাহলে অবশ্যই সেটা প্রশংসনীয়। তাই ১০টা সেমিনারে অংশ নিয়েছি টাইপ না লিখে ১টা সলিড প্রজেক্ট যেটা মেইনটেইন করা হয়, সুন্দর README আছে, এমন জিনিস সিভিতে দেওয়া ভাল।

মূলকথা হল, আপনার রেজিউম এমনভাবে তৈরী করুন যেন কম সময়ে, এক ঝলক তাকিয়েই রিক্রুটার বুঝে ফেলে আপনি কিসে এক্সপার্ট বা আপনার পটেনশিয়াল কোনদিকে স্ট্রং। এজন্য রেজিউম এক থেকে দুইপেজ হলেই ভাল হয়। এমন কিছু না করাই ভাল হবে যাতে রিক্রুটাররা বিরক্ত না হয়। আর হ্যাঁ, সঠিকভাবে আপনার যোগাযোগ নম্বর দিন, বিশেষ করে আপনার নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল আর বাসার এড্রেস যেন ভুল না হয়। কেননা পরবর্তীতে আপনার সকল কনট্রাক্ট, ভিসা এপ্লিকেশন, ব্যাংক একাউন্ট ইত্যাদি এইসব নামেই তৈরী হবে।

ইন্টারভিউ দেওয়া

আপনার রেজিউম কেও রেফার করলে অথবা রিলোকেশন অফারে এপ্লাই করলে আপনাকে পছন্দ হলে আপনি কোম্পানির HR বা রিলেটেড যারা তাদের কাছ থেকে ইন্টারভিউ এর ডাক পাবেন। সাধারণত এসব ইন্টারভিউ কয়েক ধাপে হয়। প্রথম ধাপের ইন্টারভিউ সিম্পল ফোনকল (স্কাইপ বা হ্যাংআউট) এ হতে পারে, পরের ধাপে দুতিনজন টেকনিকাল ইন্টারভিউ হতে পারে যেখানে কোম্পানির সিনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা আপনাকে যাচাই করবেন। তারা গ্রীণ সিগনাল দিলে আপনাকে নেওয়া হবে সিইও বা লীড পজিশনের যারা তাদের কাছে। তারা আপনার নন-টেকনিকাল বিষয়গুলা যাচাই করবেন, যেমন আপনার লীডারশিপ কেমন, আপনি কিভাবে একটা কাজ গুছাবেন, কিভাবে অণ্যকে প্রভাবিত করে কাজ আদায় করবেন। সেখানে মানুষ হিসেবে কেমন এটাও যাচাই করা হবে। সবশেষে যদি আপনাকে HR থেকে ডাকা হয় তাহলে বুঝবেন যে আপনাকে শর্টলিস্ট করা হয়েছে। মূলত এই লেভেলে আপনাকে স্যালারী ও কবে জয়েন করতে পারবেন এই ধরণের প্রশ্ন করা হবে। কাজেই কোন স্টেপে অবহেলা করবেন না। ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে পারেন।

  • ইন্টারভিউ এর সময় ঠিকমত বুঝে নিন। কোম্পানি যে দেশের, সেখানকার আর আপনার টাইমজোন আলাদা হতে পারে। সুতরাং মিউচুয়ালি একটা সময় ঠিক করুন। পারলে আপনার দিকটা ফ্লেক্সিবল রাখুন কেননা ইন্টারভিউ নিলে সেটা কোম্পানির ওয়ার্কিং আওয়ারের মাঝেই নিবে। আপনি সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি রাখবেন।

  • ইন্টারভিউ অনলাইনে হলে দরকারী এপস (স্কাইপ বা গুগল হ্যাংআউট) ইন্সটল করে রাখুন। ভাল ইন্টারনেট কানেকশন রেডি রাখুন। হঠাৎ কানেকশন চলে গেলে যেন ব্যাকআপ থাকে সেজন্য মোবাইল ডাটা রেডি রাখতে পারেন।

  • যদি ভিডিও ইন্টারভিউ হয়, তাহলে প্লিজ ফর্মাল ড্রেস পরে নিন। একই সাথে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড ক্লিন রাখুন (যদি বাসাবাড়ি হয়)। কখনোই বাড়ির বাইরে (মাঠে, ছাদে, রেস্টুরেন্টে) ইন্টারভিউ দিবেন না। আপনি অনলাইন থাকা অবস্থায় রুমে অযাচিত কেও না আসলেই ভাল হবে।

  • ভিডিও কলের জন্য মোবাইল ফোন ব্যাবহার না করতে চাইলে ওয়েবক্যাম কিনে নিতে পারেন।

  • ইন্টারভিউ চলাকালে যতটা সম্ভব রিল্যাক্সড থাকুন। যা প্রশ্ন করা হবে ঠিকমত উত্তর দিন। জানলে ব্যাখা করুন, না জানলে স্কিপ করুন। না জেনেও জানার ভান করবেন না। আর প্রয়োজন অনুযায়ী উত্তর দিন। আমরা সবকিছুতে বেশী বেশী বলতে চাই। এই অভ্যাস বাদ দিলে ভাল হবে।

  • কথার মাঝে সরি, থ্যাংকস ইত্যাদি বলুন প্রয়োজন অনুযায়ী। বুঝতে না পারলে ভদ্রভাবে আবার প্রশ্ন করুন।

  • ইন্টারভিউ শেষে HR কে মেইল দিয়ে জানিয়ে রাখতে পারেন তাহলে আপনাকে ফলো আপ করা সহজ হবে।

পরবর্তী পর্বে বলব কিভাবে বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নিয়ে কোম্পানির সাথে দরকষাকষি করবেন। ভাল থাকুন সবাই।