মালয়েশিয়ায় রিলোকেশন ২ - ভিসার জন্য এপ্লাই করা

মালয়েশিয়ায় রিলোকেশন ২ - ভিসার জন্য এপ্লাই করা

আগের পর্বে লিখেছিলাম কিভাবে EP ও DP পাওয়ার ডকুমেন্টস রেডি করে পাঠাতে হবে। তো EP (এবং DP) পাওয়ার সাথে সাথে আপনার কোম্পানির HR আপনাকে জানিয়ে দিবে। আমার ক্ষেত্রে দুটা ডকুমেন্ট ছিল ডিজিটাল কপি। অর্থাৎ MDEC থেকে যে দুটা পিডিএফ ফাইল পাঠিয়েছিল, সেটা আমাকে মেইল করা হয়েছিল। EP আর DP পেয়ে গেলে আপনি মালয়েশিয়া যাবার প্রস্তুতি শুরু করে দিতে পারেন। সবার আগে যা করতে হবে তা হল মালয়েশিয়ায় সিংগেল এনট্রি ভিসার জন্য এপ্লাই করা।

সিংগেল এনট্রি ভিসার এপ্লাই করা

ঢাকার মালয়েশিয়ান এমব্যাসি ভিসা এপ্লাই সহ সকল কার্যক্রম পরিচালিত করে তাদের এপ্রুভড এজেন্সীর মাধ্যমে। এমব্যাসির গেইটে দেখবেন এজেন্সীর লিস্ট রয়েছে। অনলাইনেও আপনি এই লিস্ট খুঁজে পাবেন। সেখান থেকে সুবিধাজনক কোন এজেন্সী নির্বাচন করুন ও তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। চাকরির জন্য মালয়েশিয়া যেতে হলে VDR (Visa With Reference) টাইপ এপ্লিকেশন করতে হয়। এই এপ্লিকেশন করার জন্য নিচের জিনিসগুলো লাগবে।

  • আপনার EP ও আপনার স্ত্রীর (সন্তান থাকলে তাদের) DP

  • সকলের মিনিমাম ১৪ মাস মেয়াদ ওয়ালা পাসপোর্ট (রিনিউ করা পাসপোর্ট হলে আগের সবগুলা পাসপোর্ট লাগবেই)

  • প্রত্যেকের ২ কপি করে 35mmx50mm ল্যাব প্রিন্ট ছবি

আর কোন ডকুমেন্টের প্রয়োজন নেই। অনেক এজেন্সী না বুঝে আপনাকে রিটার্ন টিকেট কাটতে বলবে, এমনকি হোটেল বুকিং এর ইনভয়েসও চাইতে পারে। আমি বলছি রিটার্ন টিকেটের দরকার নেই কেননা আপনি তো মালয়েশিয়া গিয়ে একসপ্তাহ পর চলে আসবেন না যে রিটার্ন টিকেট ইত্যাদি লাগবে। আর রিটার্ন টিকেট ও হোটেল বুকিং লাগে টুরিস্ট ভিসায়, চাকরি করতে যাওয়ার ভিসায় নয়।

মালয়েশিয়ান এমব্যাসী কতৃক এপ্রুভড এজেন্সী Tayaf International এর সজীব ভাই (+8801982741030) এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ভিসা এপ্লাই, টিকেট বুকিং সহ যাবতীয় কাজে উনি বেশ আন্তরিকভাবে সহায়তা করে থাকেন।

ভিসার জন্য ছবি তোলা

মালয়েশিয়ান ভিসার স্ট্যান্ডার্ড সাইজ হল ৫০ মিমি লম্বা ও ৩৫ মিমি চওড়া গ্লসি পেপার প্রিন্ট। এগুলাকে ল্যাব প্রিন্টও বলা হয়। সাধারণত ইংকজেট প্রিন্টার দিয়ে ৫ মিনিটে যেসব ডিজিটাল প্রিন্ট দেওয়া হয়, ওইগুলা ভিসার জন্য এপ্রুভড হবেনা আগেই বলে রাখছি। এজন্য সাজেস্ট করব কয়েকদিন আগেই সময় নিয়ে, ভাল প্রফেশনাল কোন স্টুডিও থেকে ছবি তুলে নিন এবং প্রিন্ট নিন। ছবি নেওয়ার সময় চেক করে নিন মাপ, ছবির কোয়ালিটি সব ঠিক আছে কিনা।

ছবি তোলার পর এজেন্সীকে আপনার পাসপোর্ট সহ বাকি সব ডকুমেন্টস দিয়ে দিন। এজেন্সী ওগুলা এমব্যাসীতে জমা দিয়ে আপনাকে একটা তারিখ বলবে যেদিন আপনার পাসপোর্ট তুলে আনা হবে। সাধারণত এইরকম ভিসা প্রসেস হতে ৫-৮ ওয়ার্কিং ডে সময় লাগে। সেই সাথে এজেন্সীর নিজেদের বাফারিং, প্রসেসিং এসব মিলিায়ে আরো ৩-৪ ওয়ার্কিং ডে এড করে রাখতে পারেন। ভিসার এপ্লাই করার পর আপনি ফ্লাইট ও কি কি জিনিসপত্র সাথে নিবেন এসবের লিস্ট করা শুরু করে দিন। কারণ আপনার হাতে খুব বেশী সময় থাকবেনা।

পরের পর্বে মালয়েশিয়া যাবার পূর্বে করণীয়, আর্থিক প্রস্তুতি ও ইমিগ্রেশন নিয়ে টিপস নিয়ে লিখব ইনশাআল্লাহ। ততদিন সবাই সুস্থ থাকুন। শুভকামনা!